ফিরলেন মেসি, আত্মহারা কলকাতা ময়দানও
কলকাতা, ১৩ অগাস্ট : তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে তুলেও দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। একদিকে হতাশা, অন্যদিকে সমালোচনা। নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি লিওনেল মেসি। ক্ষোভে–দুঃখে দেশের জার্সি গায়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সিদ্ধান্ত বদল আবার দেশের হয়ে মাঠে নামার মনস্থির করছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখছে বাংলার ফুটবলমহল? জেনে নেওয়া যাক ফুটবলারদের কাছ থেকেই।
পি কে বন্দ্যোপাধ্যায় : মেসিকে আবার দেশের জার্সিতে দেখতে পাবে, ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এর থেকে ভালো খবর কিছু হতে পারে না। ও না খেললে বিশ্বকাপটাই ম্যাড়মেড়ে হয়ে যেত। দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে অনেকেই ওকে অনুরোধ করেছিল। ও ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। ভালো লাগছে, আবার মেসিকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে পাব। চুনী গোস্বামী : চারিদিক থেকে যেভাবে অনুরোধ আসছিল, তা উপেক্ষা করতে পারেনি মেসি। বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। মেসিকে ছাড়া বিশ্বকাপ, ভাবতেই পারছিলাম না। আপামর ফুটবলপ্রেমীদের কাছে একটা সুখের দিন। সুরজিৎ সেনগুপ্ত : চূড়ান্ত হতাশা থেকেই মেসি অবসরের সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। হতাশা কাটানোর জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছে। সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবনা–চিন্তা করেছে। তার উপর দেশের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে আর্জেন্টিনার নতুন কোচ এডগার্ডো বাউজা-সহ অনেকের অনুরোধ তো ছিল। সকলের আন্তরিক উদ্যোগ মেসিকে প্রভাবিত করেছে। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে দারুন সুখবর। শ্যাম থাপা : মেসির অবসরের সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক হতাশার বহিঃপ্রকাশ। পরে ভালো করে ভেবে বুঝেছে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে অনেকেই মেসিকে অনুরোধ করেছিল ফিরে আসার জন্য। মেসিকে ছাড়া আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে খেলছে, এটা ভাবতেই পারছিলাম না। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে খুব ভালো খবর। গৌতম সরকার : নেইমার, মেসিদের মতো তারকাদের খেলা দেখার জন্যই তো সবাই অধীর আগ্রহে বসে থাকে। মেসির অবসরের সিদ্ধান্ত ফুটবলপ্রেমীদের জোর ধাক্কা দিয়ে গিয়েছিল। যাইহোক, ও যে অবসর ভেঙে আবার জাতীয় দলের হয়ে খেলবে, ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এর থেকে ভালো খবর আর কিছু হয় না। সকলের কথা ভেবে মেসি বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।